Saturday, September 23, 2017

প্রেমিকা

আমার যত বিশ্বাস আর-
প্রেমিকার ঘন নিঃশ্বাস,

আমার সিগারেটের সুখটান-
খোঁজে প্রেমিকার ওই মুখখান। 

আমার দুরুদুরু বুকের কম্পন-
যেথা প্রেমিকা দেয় চুম্বন,

আমার শীতে কাঁপা কাঁপা বর্ষণ-
যবে প্রেমিকাই খোঁজে ধর্ষন। 

আমার দেহের প্রতি রন্ধ্র-
শোষে প্রেমিকার দেহ গন্ধ,

যেথায় জিভের জল পড়ছে-
সেথায় প্রেমিকার চুল উড়ছে। 

আমি ধীরে ধীরে নিচে নামছি-
আর প্রেমিকার দেহ কাটছি,

আমি কেটে কেটে সুর বাঁধছি-
আর বিধাতাকেই তা সাধছি।

আমার প্রেমিকা চায় মন্ত্র-
ঘিরে আমাকেই ষড়যন্ত্র,

যত যন্ত্র ভেসে যাচ্ছে-
সে তো শকুনীরা কুড়ে খাচ্ছে। 

আমি প্রেমেতেই ভাবি মাত্রা-
দেখি প্রেমিকার রথযাত্রা,

যে যাত্রায় থাকে বিষধর-
বুঝি ফিরিয়াছে আজ নীলকর। 

নীল প্রেমিকার বুক ভাঙছে-
পাছে শয্যা চাদর রাঙছে,

আমি সে চাদর মেলে রাখছি-
যোনীরক্তের ধারা আঁকছি। 

প্রেম প্রেমিকাই রাখে উহ্য-
সে প্রেম করি আমি সহ্য,

আমি প্রেমিকার দেহ চাটছি-
আর ধীর পায়ে পথ হাঁটছি।

হেঁটে যেতে যেতে দেখি পথ নগ্ন-
মাঝে ফুরিয়ে যায় যে লগ্ন,

যে লগ্নের জোড়ে এ প্রাপ্তি-
সেথা ফুরায় চোখের দীপ্তি।

যে দীপ্তির জোড়ে দেখছি-
আর চুম্বন ঠোঁটে মাখছি,

প্রতি স্থির চুম্বনে আঁকা-
আজও পুরনো সে প্রেমিকা।

দ্বৈত চরিত্র

তোমার দ্বৈত চরিত্রে,
তোমার কালো সত্তা;
কাল বিকেলেও ছিলে তুমি,
আমার বাগদত্তা।

আজ যে তোমার প্রশংসাতে,
উচ্ছসিত ডাইনী;
আমার মুখেও ফসকে গেলো-
"আমি যে ঠোঁট খাইনি।"

এখন বেশ বুঝতে পারি,
মেঘের কণা কেনো ঝরে;
মনের তৃপ্তি আমি দিলেও,
দেহের তৃপ্তি তাহার পরে।

যত নিষ্পাপ কথার জোড়ে,
দূরে ছুড়ে ফেলো আমায়;
দ্বৈত স্বভাব যাহার আছে,
পতিতাতেই ফারাক কোথায়?

তোমার দেহের অতি মোহ,
তোমার প্রেমিক নিয়ে যাক;
আমার দেহে তোমার নখের,
তীব্র কিছু আঁচড় থাক।

ষোড়শী চাঁদের অন্তরালে,
জঘন্য যেসব পিশাচ খেলে;
সেসব ছাড়া থাকবো বেশ,
রক্ষিতাদের এই হোটেলে

Monday, August 14, 2017

চতুর্ভূজ প্রেম

যখন তোমার উন্নত সে বক্ষাবরণ খসে,
হাজার হাজার মৌমাছি তো তাহার মধুই চোষে;
ধরণী যে শান দিয়াছে যৌবনেরই রসে,
জানি আমায় ত্যাগ করিবে অজ্ঞাত সেই দোষে।
হপ্তা চারেক পার হলে যে তোমার নদী ভাসে,
গর্ব করে আমায় বলো,হয়নি কোন মাসে!!
আমি তখন শূন্যে চাহি,কষ্ট আমার শ্বাসে,
ফুসফুসের ঐ বাতাস ভারী,কক্ষপথেও কাশে।
উল্কা দিয়ে আমায় জ্বালাও,অশ্রু আমার কিসে?
ঠোঁটে আমার উড়ছে ধোঁয়া,পুড়ছে কঠিন সীসে;
অশ্রু যখন চোখে গড়ায়,পাইনে খুঁজে দিশে,
সর্ষে ফুলের সাথে যেন অন্ধকারও মিশে।
ত্রিবেণীর যে ঘাটে এনে আমায় বলো,ভাসো
অজ্ঞ আমি,চতুর তুমি,কাকে ভালোবাসো?
চতুর্ভূজের প্রেমকাহিনী নগ্নতারই দাসও;
আমার ঘরে কাঠের সাথে,পুড়ছে কঠিন তাসও।

ল্যাম্পপোস্ট

রোজ রাতে,
কথা হয় তারাদের সাথে;
সোডিয়াম কিংবা হ্যালোজেন
রাজপথ,উঁচু লেন
বেশ্যার সাথেও লেনদেন। 

এক দন্ডে দন্ডায়মান
উড়ন্ত বাদুড়,পিশাচী ঘ্রাণ
সাইরেনের শব্দ,
ক্ষীয়মাণ। 
ঘুমভরা চোখে
প্রেমিকাকেও অচেনা লাগে;
ক্লান্তিভরা,কে ই বা
মাঝরাতে জাগে?

এখনও খোলা,রাস্তার টং
আঁধার খোঁজে,প্রিয় রং
গরম ধোঁয়ায়,
ভিজতে থাকে,
চায়ের কাপে টোস্ট;
চায়ের কাপের গল্প জানে,
শুধুই ল্যাম্পপোস্ট। 

ভবঘুরে

আমার গল্পগুলো,জমতে থাকে
ধূসর ধুলোর পাতায়;
ফুটপাত ছেড়ে,মাঝরাস্তা
ক্রোশখানেক পথ হাঁটায়।

ল্যাম্পপোস্ট,শুধু দাঁড়িয়ে থাকে
চিমনি-সাফাই সেপাই মতো;
তাড়স্বরে চিৎকারে কাঁদে,
অলিতে-গলিতে কুকুর যতো। 

ছায়াবিনী ছায়া ফেলে
ষোড়শী চাঁদের অন্তরালে;
রাত্রি আমার দীর্ঘ হয়,
হারিয়ে যাওয়া,স্বপ্নজালে।

গলির মোড়েও চায়ের দোকান
কেন জানি বন্ধ থাকে;
তীব্র গতির বাহন যেন,
রাস্তা জুড়ে পদ্ম আঁকে।

এখানে জোনাক নেই
ঝিঁঝি ডাকেনা আকুল সুরে;
নিঃশব্দে পথ হেঁটে যাই,
ক্লান্ত আমি,ভবঘুরে। 

অভিসার

আমি প্রেমে পড়েছি বারবার,
ছুটে গেছি,অভিসারে;
সে তো দেখা দেয়নি আমায়,
ফিরে গেছে,চুপিসারে।

রেখে গেছে কাদামাখা পায়ের চিহ্ন,
রেখে গেছে বর্ষাস্নাত কদম ফুল,
মেঘবিলাসী জ্যোছনার সাথে,
রেখে গেছে একগুচ্ছ ভুল।

আমি তারে চেয়েছি বারবার,
সে চেয়েছিলো কাহারে?
সে তো দেখা দেয়নি আমায়,
এসেছিলো অভিসারে।

বর্ষার বায়ুশীতলতায় কদম তরু,
ভিজেনি কি রাত দিন ভর?
মায়াদ্বীপ ছেড়ে এপারেতে এসে,
জাগিয়েছে কি আরেক চর?

আমি তারে বলেছি বারবার,
যেওনা,প্রান্তের ওপারে;
আমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছি,
ফিরে এসো অভিসারে।

অদ্ভুত-নিকৃষ্ট

তোমার লেহ্য,আমার উহ্য
আমার শোণিত থেকে সৃষ্ট;
তবু তোমার কাছে আমি যে এক
অদ্ভুত,নিকৃষ্ট।

আমার দেহের প্রতি কণা,
তোমার জিভের তলে পিষ্ট;
তবু আমায় তুমি দেখিয়ে বলো-
আমি অদ্ভুত,নিকৃষ্ট।

আমি সময় বেঁধে রাখি,
যে সময় তোমার দৃষ্ট;
তবু সময় ফুরায় আমায় কহো-
হে অদ্ভুত,নিকৃষ্ট।

তুমি উষার দুয়ার হানো,
আমি তাতেও ভদ্র শিষ্ট;
তবু দোষ চাপিয়ে আমায় বলো-
আমি অদ্ভুত,নিকৃষ্ট।

তুমি কথ্য ভালোবাসো,
তোমার শব্দগুলোও মিষ্ট;
শুধু শব্দ ছুড়ো আমার পানে-
যেন অদ্ভুত,নিকৃষ্ট।

তুমি ছুঁড়ে ফেলো আমায়,
যে ছোড়ার খেলা ধৃষ্ট;
তুমি ঘৃণার সুরে আমোদ করে,
ডাকো-অদ্ভুত,নিকৃষ্ট।

তুমি তোমার স্বভাব মাপো,
শুধাও আমার স্বভাব রিষ্ট;
তাই আমায় মানতে বাধ্য করো-
যে অদ্ভুত,নিকৃষ্ট।

তুমি দেখাও শুধু আমায়,
তোমার বক্ষে পাথর কৃষ্ট..!!
শপথ,শেষ বিকেলে মেনে নেবো-
আমি অদ্ভুত,নিকৃষ্ট ।

একটা গল্প

একটা গল্প লিখবো বলে,
আকাশ পানে চেয়ে রই;
প্লাটফর্ম চিৎকার করে বলে,
তারায় ভরা আকাশ কই?
চরিত্রগুলো বেসুরো কন্ঠে,
অসমাপ্ত গল্প শোনায়;
বৃদ্ধের হাতে টাইপরাইটার,
মলিন পাতায় গল্প গড়ায়। 
প্রকাশক আজ রুগ্ন চোখে,
ছুড়ে ফেলে স্ক্রিপ্টগুলো;
তরুণ লেখক মলিন মুখে,
ঝাড়তে থাকে মলাট ধূলো। 
গল্পটা আজ জুতসই নয়,
খেঁকিয়ে ওঠে চিন্তাধারা;
এভাবে কি পাবলিক খাবে?
চুলো মাথায় সবাই ন্যাড়া। 
মোটা লেন্সের চশমা পড়ে,
লেখক আজ ভাবছে কাকে?
কপাটগুলোতে বাতাস বয়,
দূরে থেকে কে ডাকতে থাকে!!
দূরসজনীর প্রেম ডাকে,
দাঁড়িয়ে আছি জানলার ধারে;
সজনী মোরে গল্প শুধায়,
দেখা হবে পরপারে। 

অঙ্কন রেখা

আঁকতে পারি যা আমি
মনের গহন গহীনে,
যার আকাঙ্ক্ষায় তুমি,
ধূসর সবুজ জমিনে l
এ ছবির হাত ত্রুটিতে ভরা
অঙ্কন রেখার ভুল,
না,প্রেয়সী,তুমি দিয়াছো
স্বর্গে বিরাজ ফুল l
পর্বত আজ আঁধারে গেছে
সন্ধ্যা নামিছে ধীরে,
আকাশে শুধু একটি তারা
চেয়ে দেখো ওই দূরে l
আমি ব্যাস্ত অঙ্কন কাজে
কৌটো হাতে ধরে,
দেখো আমার হাতের মাদুলি
নাচছে নেশার ঘোরে l
আমার সৃজনে তোমার বিশ্বাস
দরকার নেই পাছে,
আঁকবো শুধু পারটোর ছবি
ভার্জিন মেরীর কাছে। 

মৌনতা

সবকটা জানালা বন্ধ,
বদ্ধ ঘরে যৌনতা;
অঙ্গে তোমার অন্যের হাত,
কন্ঠে আমার মৌনতা।

মনের দেয়াল

মনের দেয়ালে,
শত শত দাগ।

কত সুখ,কত দুখ
কত কত রাগ।

শেষ অনুভূতিও
স্মৃতির পাতায়,

বসালো যে ভাগ।

শেষ বেলায়

আমার যাত্রা তোমারি পানে,
তোমাকেই ভালোবাসি;
আঘাত করো অন্তরে মোর,
বজ্রের জোরে,
মেঘলা রাতের হাসি।

আমি রচনা করবো সেই সঙ্গীতরাজি,
শোনাও গেয়ে সে কাহিনী;
যা আজো আমার কাছে অন্ধকার,
বলো কে,
কে বাজায়,মেঘমালার রাগিনী?

ক্লান্ত দিনের শেষে,
ঘন্টাধনি বাজে,
চারোদিকে নীরবতা,স্তব্ধ আকাশ;
পতঙ্গ পাখার থামে গুনগুন ধ্বনি,
মেষপালগুলো খুঁজে ফেরে,
রাতের নিবাস।

শুয়ে আছে পৃথিবী মৃত্তিকা,
পরে যে যুবা,
কোনো খ্যাতি নেই তার,
এমনি নিয়তি;
আমারি মতোন কেউ হবে তোমার,
ফিরিয়ে দিওনা আমায়,
শুধু এই মিনতি l

চাঁদের বিরুদ্ধে পেঁচা ভ্রুকুটি করে,
গৃহবধূ ব্যস্ত হয় স্বামীর সেবায়;
মেঘলা রাতে প্রার্থনায় কাঁদি,
শেষ বেলায় যেন পাই তোমায়। 

একা

মাতাল হাওয়ায় সাগরতীরে,
হয়তো শেষ দেখা;
ঢেউয়ের দোলায় কল্পনাতে,
হাতটি চেপে রাখা।
শিশির ভেজা বালুচরে,
ইন্দ্রে ধনুরাশি;
পাহাড় গায়ে উঠলো বেজে,
ক্ষণিক সময় হাসি।
কুয়াশাতে ঝাপসা চোখে,
সীমান্ত যে ঢাকা;
একলা ঘরে একলা মন,
একলা ভাবেই থাকা।
তাকিয়ে দেখো পিছু ফিরে,
কেউ যে নেই পাছে;
ভালো করে খুঁজে দেখো,
একাকীত্বই আছে।
মেঘ-কুয়াশার আকাশে তে,
যায় না তারা দেখা;
যদিও সবার সবাই আছে,
তবুও সবাই একা।

আমার গানের বুলবুলি

হারিয়ে গেছে পথের বাঁকে,
দীর্ঘদিনের শ্বাসগুলি;
ভয়ের চোটে ঘুমিয়ে গেছে,
আমার গানের বুলবুলি।

এলোচুলের দীঘলকেশে,
ছড়িয়ে গেছে বনের পথ;
হাজার গাছের আড়াল হতে,
ছুটবে গহীন সাঁঝের রথ।

শুকনো পাতার পথের ধারে,
ফুটবে নতুন ফুলের ঝাঁক;
লক্ষ জোনাক কান্না কাঁদে,
পাহাড় ধসের নতুন বাঁক।

ধূলোয় ভরা বইয়ের পাতা ;
চশমা চোখে মাঘের রাত,
আড়াল হতে চাপলো ঘাড়ে,
ঠিক যেন এক বাঘের জাত।

ঘন কালো দীঘল চুলে,
পথ হারিয়ে ভ্রান্ত আজ;
অমাবশ্যার শেষ তিথিতে,
গহীন বনে ভিন্ন সাজ।

ভেজা কাঠে শ্যাওলা পড়া,
ভিজলো রাতের তাশগুলি;
আশায় থাকি উঠবে জেগে,
আমার গানের বুলবুলি। 

পূর্নতা

স্নিগ্ধ রাতে তোমায় পাওয়া
আবছা আলোয় আবছা ছায়া,
আখিঁ খুলে আকাশ দেখো
জ্যোছনা ধারা গায়ে মাখো,
মেঘদূতেরই পাখনা মেলে
কোন গগনে হারিয়ে গেলে,
চাঁদ যেন আজ ঠোঁটের পাশে
মিষ্টি আলো অট্ট হাসে,
তাকিয়ে দেখো নীলচে মায়ায়
পূর্ণতা আজ ডাকছে তোমায়। 

তোমার জন্য

তোমার জন্য মেঘলা দুপুর,
আকাশটা ছুঁই ছুঁই;
তোমার জন্য নীল পাহাড়ের,
কাব্যরা সব কই?

তোমার জন্য চাতক পাখি,
পিপাসায় মর মর;
তোমার জন্য একফালি রোদ,
আনতে পারে ঝড়।

তোমার জন্য দাঁড় টানা পাল,
নদীর বুকে ঢেউ;
তোমার জন্য একলা পথে,
চলবে পাশে কেউ।

তোমার জন্য গো'চরণের,
মাঠে সবুজ ঘাস;
তোমায় ছাড়া নগরবাসী,
করবে যে হাসফাস।

তোমার জন্য বৃক্ষ ছাড়াই,
নিত্য বাতাস বয়;
তোমার জন্য কানের কাছে,
চুপিচুপি  কয়-

তোমার জন্য ভালোবাসা,
নিত্য মোরে হাসায়;
তোমার জন্য ভালবাসা,
একটু হলেও কাঁদায়।

তোমার জন্য ভালবাসা,
সুবাস ঝর্ণাধারায়;
তোমার জন্য বুঝতে পারি,
ভালবাসাই ভালবাসায়। 

তোর ভাবনাগুলো

তোর ভাবনাগুলো আমায় দিস;
ভরদুপুরে মেঘের শিষ।
পা ঝোলানো আমের ডাল;
শিশির ভেজা এক সকাল।
খোলা কেশে গন্ধরাজে;
প্রেমরূপসী আবার সাজে।
নথ নাড়িয়ে বধূ এলো;
শাখ বাজানো সন্ধ্যা হলো।
নির্জনেতে রাত্রি কাটে;
দিন যে পেরোয় পুকুরঘাটে।
মহুর বনে মাতাল হাওয়া;
গগন পানে হারিয়ে যাওয়া।
উর্দ্ধ পানে নিম্ন মন;
প্রেম বিহনে এক নয়ন।
উথাল-পাথাল ভাবনা মোর;
দুপুর কেটেই হয় যে ভোর। 
অনুভবে আমি একা;
একলা হয়েই বসে থাকা।
আসবো আমি আবার ফিরে;
থাকবো যে তোর স্বপ্ন জুড়ে।

নীরব বিকেল

পাখনা মেলা জীবন আমার,
উড়ছে যথা-তথা;
হাওয়ার সাথে ভাব জমিয়ে,
রাত্তিরে হয় কথা।

মাঝে মাঝে স্বপ্নে দেখি,
দাড়িয়ে আছি ঠায়;
গহীন বনে ভিন-রূপসী,
একাই হেঁটে যায়।

দরজা খুলে উঁকিয়ে দেখি,
সত্যি আছে কেহ?
অনুভবে বুঝতে পারি,
কাঁপছে মাতাল দেহ।

বনের ধারে লুকিয়ে থাকে,
জোড়া পেঁচার দল;
কান পেতে আজ মুখিয়ে থাকি,
ভালবাসি বল?

ভোরের পরের শিশির ভেজা,
কাঁদছে আকুল মন;
মুঠোয় ভরে ছিনিয়ে নিলো,
কোন সে আপন জন?

আবির-মাখা স্নিগ্ধ-রাজে,
রাঙা নৌকো ভাসে;
প্রেমময়ী আবার সেজে,
রোজ বিকেলে আসে।

হরিণী তার চোখটি মেলে,
সূর্য পানে চায়;
দেবদূতেরই আদেশ মেনে,
পড়লো কিসের দায়?

শেষ স্বপনেও ছিলি যে তুই,
আসবিনা আর ফিরে;
মন পুড়োবে আবার আমার,
শুধুই তোকে ঘিরে।

হাত বাড়িয়ে ফিরিয়ে নিলাম,
তুইতো আমার নাই;
আয়না সখী তোর সাথে আজ,
নীরব এক বিকেল বানাই।

মধ্যরাতের পাখি

আমি ভীরু,আমি উন্মাদ;
আমি কপাট টানিয়া করি,
প্রতিবাদ।

আমি ধ্রুব,আমি ক্ষয়;
আমি সহিতে পারিনা,
পরাজয়।

আমি মুক্ত,আমি রুদ্ধ;
আমি স্বপ্নে জিতি যে,
যুদ্ধ।

আমি বাস্তব,আমি মাতাল;
আমি ভুল বুঝিয়া যাই,
চিরকাল।

আমি সৎ,আমি অকপট;
আমি চরিত্রের কালিতে,
লম্পট।

আমি মিথ্যা,আমি সত্য;
আমি দর্শনেও খুঁজি,
তত্ত্ব।

আমি ধূসর,আমি উর্বর;
আমি নর্দমায় দেখি,
সরোবর।

আমি চন্দ্র,আমি সূর্য;
আমি সীমানায় খুঁজি,
ধৈর্য্য।

আমি মৃত্যু,আমি প্রান;
আমি বজ্র মায়ার,
গান।

আমি নিঃস্ব,আমি শিষ্য;
আমি দৃশ্য ভয়ে,
অস্পৃশ্য।

আমি ধবল,আমি কৃষ্ণ;
আমি উত্তরে খুঁজি,
প্রশ্ন।

আমি শান্তি,আমি প্রহারে;
আমি সকলকে রাখি,
আঁধারে।

আমি কন্ঠ,আমি আঁখি;
আমি মধ্যরাতের,
পাখি।

পেজটির দর্শক সংখ্যা-

ফিচার কবিতা

চতুর্ভূজ প্রেম

যখন তোমার উন্নত সে বক্ষাবরণ খসে, হাজার হাজার মৌমাছি তো তাহার মধুই চোষে; ধরণী যে শান দিয়াছে যৌবনেরই রসে, জানি আমায় ত্যাগ করিবে অজ্ঞাত ...

সর্বাধিক পঠিত