যখন তোমার উন্নত সে বক্ষাবরণ খসে,
হাজার হাজার মৌমাছি তো তাহার মধুই চোষে;
ধরণী যে শান দিয়াছে যৌবনেরই রসে,
জানি আমায় ত্যাগ করিবে অজ্ঞাত সেই দোষে।
হপ্তা চারেক পার হলে যে তোমার নদী ভাসে,
গর্ব করে আমায় বলো,হয়নি কোন মাসে!!
আমি তখন শূন্যে চাহি,কষ্ট আমার শ্বাসে,
ফুসফুসের ঐ বাতাস ভারী,কক্ষপথেও কাশে।
উল্কা দিয়ে আমায় জ্বালাও,অশ্রু আমার কিসে?
ঠোঁটে আমার উড়ছে ধোঁয়া,পুড়ছে কঠিন সীসে;
অশ্রু যখন চোখে গড়ায়,পাইনে খুঁজে দিশে,
সর্ষে ফুলের সাথে যেন অন্ধকারও মিশে।
ত্রিবেণীর যে ঘাটে এনে আমায় বলো,ভাসো
অজ্ঞ আমি,চতুর তুমি,কাকে ভালোবাসো?
চতুর্ভূজের প্রেমকাহিনী নগ্নতারই দাসও;
আমার ঘরে কাঠের সাথে,পুড়ছে কঠিন তাসও।